বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম,
শুভ সকাল,
সবাইকে জানাই আমার আন্তরিক সালাম ও শুভেচ্ছা, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ অশেষ রহমতে আমিও ভাল আছি এবং সুস্থ আছি।
আমি যথার্থ চেষ্টা করব প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর দেওয়ার জন্য। হাসি কয়েক প্রকার হয়ে থাকে কেউ মুচকি হাসি দিতে ভালোবাসে আবার কেউ অট্টো হাসি দেয় আবার কেউ মনে মনে হাসে। মানুষর ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ধরনের হাসি মুখে লেগে থাকে। যাই হোক আমরা এখন মূল প্রশ্নই চলে আসি।
যে তিনটি জিনিস আমার হাসির কারণ সেগুলো হলো;- The three things that make me smile are;-
*** প্রথমত নিজের সুস্থতা, আমি যদি নিজে সুস্থ থাকি তাহলে আমার নিজের মুখে হাসি সব সময় অটল থাকবে আর যদি নিজে অসুস্থ হয়ে পড়ি তাহলে সে হাসি অন্ধকারে লুকাবে। আল্লাহতালা আমাদের সৃষ্টি করেছেন। শুধুমাত্র তার ইবাদতের জন্য। আর আমাদের সুস্থ রাখার মালিক ও আল্লাহ সুবহানাতায়ালা তাই দিনশেষে যদি আল্লাহর দেওয়া আদেশ-নিষেধ সবগুলো পালন করার পর নিজে সুস্থ থাকি তাহলে নিজের মনের ভিতরে এক ধরনের মুচকি হাসি চলে আসে।
নিজের ফোনের ক্যামেরা দিয়ে উঠানো ছবি
*** দ্বিতীয়ত আমার মুখের হাসির কারণ মা, বাবা,। আমার মায়ের আমি বড় সন্তান তাই আমার দায়িত্বটা অনেক বেশি আমি ছোটবেলা থেকে দেখছি অনেক কষ্ট সহ্য করছে আমার মা-বাবা আমাদের কে মানুষ করতে গিয়ে তাদের মুখে হাসি টা কখনোই দেখতে পায় নাই তাই যবে থেকে আমি ইনকাম করা শুরু করছি এবং মা বাবার হাতে এই ইনকামের পয়সা তুলে দিয়েছি তাদের মুখের যে হাসিটা যেন হৃদয় ছুঁয়ে যায় সেই হাসি টাই যেন আমার মুখে ফুটে ওঠে। মা বাবার সুখের হাসি যেন আমার সুখের হাসি। সন্তানরা যখন ইনকামের পয়সা সম্পূর্ণ মা বাবার হাতে তুলে দেয় তাদের মন থেকে যে দোয়া এবং তাদের মনে হাসিটা অনেকেই মিস করে তবে আমি আমার মা বাবার হাসি কখনোই মিস করি না তাই আমি সব সময় আমার ইনকামের পয়সাটা সম্পন্ন আমার মা-বাবার হাতে তুলে দেই। যখন আমি আমার মায়ের হাতে মাস শেষে ইনকামের পয়সা সব তুলে দেই তখন মা আমার একটি কথা বলতো আমার সোনার টুকরো সন্তান। এই কথা যে কতটা মধুর এবং মনের ভেতরে যে আনন্দের হাসিটা বয় তা প্রকাশ করার মত নয়।
প্রতিযোগিতা দ্বিতীয় অংশের প্রশ্ন ছিল, আপনার হাসির পিছনে লুকিয়ে থাকা কোন আশ্চর্যজনক গল্প থাকলে আমাদের সাথে শেয়ার করুন:-
আমার হাসির পেছনে লুকিয়ে থাকা ছোট্ট একটি গল্প, আমার অন্যান্য ভাই বোনদের তুলনায় আমি অনেক চিকন ছিলাম। আমার বয়স এখন 12-13 বছর তখন আমার আনুমানিক ওজন ছিল ২৫ কিলোর মতো। কিন্তু আমি লম্বাই চার ফুট এর উপরে ছিলাম। আমি যখন খালি গায়ে বের হতাম তখন আমার চাচীরা দেখে হাসতো আর বলতো পেয়ারার কাট কোথায় যাচ্ছিস। আমি ছোটবেলা থেকেই নারকেল গাছে উঠতে পারতাম । একদিন দুপুরে আমার ছোট চাচীদের নারকেল গাছে উঠি ওই নারকেল গাছে আবার কেউ উঠতে চায় না কেননা প্রচুর পরিমাণ লাল পিঁপড়া রয়েছে । আমি গাছের অর্ধেক পর্যন্ত উঠেছি আর চার-পাঁচটা লাল পিঁপড়া আমার পাছায় কামড় বসাইছে আর তখন আমি হাত ছেড়ে দিয়ে গাছ তলায় পড়ে গেছি ওদিকে আমার চাচী চিৎকার দিয়ে সবাইকে বলছে নারকেল গাছে ওঠার আগে ডাব পড়েছে সবাই এদিকে আয়। নিচের মাঠি নরম থাকার কারণে আমার কিছুই হয় নাই কিন্তু পাছায় যে লাল পিঁপড়া কামড়াইছে সাথে সাথে পাছার মাংস ফুলে ডবল হয়ে গেছে। সবাই বলছে পিয়ারা কাটের গায়ে গোস লাগছে । ঐদিন সবাই আমাকে নিয়ে প্রচুর হাসাহাসি করছিল।
Comments