হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন বন্ধুরা বরাবরের মতো আবারো নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম আজকের ব্লগটি দাদা দাদির ভালোবাসা।
source
আজ হঠাৎ করে দাদা দাদির কথা খুব মনে পড়ে গেলো কারণ আজ আমার সামনে ইন্দোনেশিয়ার একজনেরা এসেছিলো তার ছেলে-মেয়েকে নিয়ে বাবা মায়ের কাছে দেখে খারাপও লাগছিলো আবার ভালো লাগছিলো দাদা দাদির ভালোবাসা দেখে।
খারাপ লাগছিলো কারণ আজ আমার দাদা দাদি বেঁচে নেই আমাদের মাঝে আল্লাহতালা তাদেরকে জান্নাতী বাসী করুক তাদের কে আজ খুব বেশি মনে পড়ছিলো আমার দাদা-দাদি যখন মারা গিয়েছে তখন আমি খুবই ছোট্ট ছিলাম যাই হোক বুদ্ধি হালকা হয়েছিল তখন আমার।
আমি আমার মায়ের আঁচল ধরে যেমনটা ঘুরে বেড়াতাম ঠিক তেমন করে ঘুরে বেড়াতাম আমার দাদীর আচলটা ধরে আমার দাদি হাটতে না পারলেও তবুও আমার কোলে নিতো মনে পড়ে গেল আজ সেই পুরনো স্মৃতির কথাগুলো।
আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়তাম স্কুলে যাওয়ার জন্য রওনা দিতাম যখন তখন আমার দাদী হাতে দুই টাকার পাখি নোট না দেওয়া পর্যন্ত স্কুলে যেতাম না যেহেতু আমি তার ছটোপুতা ছিলাম সেই ক্ষেত্রে আমাকে একটু বেশি ভালোবাসতো আমার দাদী।
দাদা ও আমাকে কম ভালোবাসতো না যেকোনো জিনিস প্রয়োজন পড়লে দাদা যদি বাজারে থাকত তাহলে সেই জিনিসটি দাদার কাছে গিয়ে আবদার করতে পারতাম এবং দাদা সেই আবদারটি পূরণ করে দিত আজ দাদা দাদির কথা এত বেশি মনে পড়ে গেলো যে ভাবলাম তার কিছু অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করা যায়।
source
আসলে আমাদের অনেকের দাদা দাদির কথা মনে পড়ে না কারণ তারা জন্ম নেওয়ার আগেই দাদা দাদী মরে যাই দাদা দাদি কেমন হয় সেই অনুভূতিটা তাদের ভেতরে থাকে না দাদা-দাদী পরিবারের একটি অংশ পরিবার বড় দেখা যায় যদি পরিবারের সাথে দাদা-দাদী যুক্ত থাকে না হলে পরিবারটি অনেক ছোট দেখা যায় যদি দাদা দাদি পাশে না থাকে।
তবে আমার এখনো খুব ভালোভাবে মনে আছে আমার দাদি আগে মারা গিয়েছিলো এবং আমার দাদার শখ ছিলো ঘোড়া পোশাক আমার বুদ্ধি জ্ঞান হওয়ার পরে আমাদের বাড়ি প্রথম আমি ঘোড়া দেখেছিলাম এর আগে আমার দাদা যতগুলো ঘুড়া পুষে ছিলো বেশিরভাগ ঘোড়া অসুস্থ হয়ে মারা গিয়েছিলো।
যার কারণে আমার আব্বু ঘোড়া কিনে দিতে মানা করছিলো হাসির বিষয় এইটা ছিলো যে আমার দাদা বলে উঠলো হয় আমাকে বিয়ে করায় দাও না হলে ঘোড়া কিনে দাও অবশেষে আমার আব্বু বাধ্য হয়ে আমার দাদাকে ঘোড়া কিনে দিয়েছিলো সেই ঘোড়ার পিঠে আমি উঠে খেলাধুলা করতাম এবং আমাকে নিয়ে বাজারে যেত আমার দাদা।
আমার দাদা মারা যাওয়ার পরে ঘোড়ার দেখাশোনা করতাম আমি এবং আমার বড় ভাই বেশ কিছুদিন যাওয়ার পরে আমার আব্বু ঘোড়াটি বিক্রি করে দিয়েছিলো কারণ আমার আব্বুর ঘোড়ার প্রতি কোন আগ্রহ ছিলো না শুধু আমার দাদার আবদারটি রাখার জন্য ঘোড়াটি কিনা হয়ে ছিলো।
আজ সেই ছোট্ট বেলার দাদা-দাদির ভালোবাসার কথা হঠাৎ করে মনে পড়ে গেলো তার কিছু অংশ আপনাদের মাঝে শেয়ার করে ফেললাম যাইহোক আজ আর বেশি কিছু লিখব না এখানেই সমাপ্তি করছি।
Comments