Serey is utilizing Blockchain technology

Information collection along with mountain tours

jakaria

Do travel and see that knowledge will inevitably increase. Willingness to seek knowledge should be maintained. The more you see, the more you will know. Place of Travel:- Habiganj, Sahjibazar.

20231215_000746_0000.png

#Travel

প্রিয় ভ্রমণপিপাসু,

আজকে আমি আপনাদের সম্মুখে উপস্থিত হয়েছি ভ্রমণ এর মাধ্যমে। ভ্রমণ করতে সকলেই চায় কিন্তু হয়তোবা সময় হয় না কিংবা বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে। আমিও ঠিক সেই ব্যস্ততার মাধ্যমে কোথাও বের হতে পারি না কিংবা সিচুয়েশন সেভাবে হয়ে ওঠেনা।

 

গত বৃহস্পতিবারে আমার ছুটি ছিল কিন্তু সেই দিন বের হতে পারি নাই কেননা বৃষ্টি ছিল। সেই বৃহস্পতিবার আবারো চলে এসেছে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কোথাও বের হই নাই দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করার পর সুমন ভাইকে নিয়ে বের হলাম।

IMG-20231214-0059.jpg

IMG-20231214-0064.jpg

প্রথমে হাঁটতে হাঁটতে সাহাপুর নতুন বাজারে চলে গেলাম এবং তার পাশ দিয়ে অনেক উঁচু উঁচু পাহাড় রয়েছে যদিও পাহাড়ে ওঠা হল না, কিন্তু তার পাশ ঘিরে হাঁটাহাঁটি করলাম ছবি উঠলাম।

 

আমার চিন্তাধারা আমি অনেকদিন হলো বাহিরে যায় না যে করেই হোক আজকে বাইরে যেতেই হবে যে কোন মূল্য হোক। বাজারে গিয়ে ৩০০ টাকা ক্যাশ আউট করলাম। আমার মনেও ছিল না জুতা চেঞ্জ করে আসতে হবে শুধু মাথার মধ্যে একটি চিন্তায় ঘুরতেছে যে করেই হোক আজকে কোথাও যেতে হবে। সেই যে দিন আমি এসেছি ঐদিন বিকেল বেলায় সকলের সঙ্গে ঘোরা হয়েছে কিন্তু এরপর থেকে প্রায় দীর্ঘ এক মাস এর কাছাকাছি হয়ে যাবে ঘোরা হলো না।

IMG-20231214-0058.jpg

প্রথমে মুসাহিদ ভাইয়ের কাছে গেলাম চলেন যাই ভাই কোথাও ঘুরে আসি আজকে নাকি মেলা হচ্ছে। বলতেছে না ভাই আজকে যাওয়া হবে না টাকা পয়সাও নেই আর যাওয়ার ইচ্ছা নেই। বললাম আমার কাছে আছে চলেন যাই ঘোরাফেরা করে আসি। ভালো লাগতেছে না। অনেকদিন ধরে শুধু অফিস আর রুম, অফিসার রুম।

 

মুসাহিদ ভাই না যাওয়ায় তার কাছ থেকে সুমন ভাইয়ের নাম্বার নিলাম এবং তার সাথে যোগাযোগ করে দুজনে মিলে পথ চলতে শুরু করলাম।

 

IMG-20231214-0063.jpg

IMG-20231214-0061.jpg

এরপর পাশেই রয়েছে সুন্দর একটি বটগাছ। বট গাছ জুড়ে আমি ছবি উঠতে শুরু করলাম। বট গাছের পাস জুড়ে অনেক মৌমাছি ঘুরতেছিল। ভয় পেয়ে গেলাম যদি হুল ফুটে দেয় তাহলে তো আরেক সমস্যা। সুমন ভাই বলল কিছু কইবো না সমস্যা নেই।

 

সাহস নিয়ে বটগাছের বুকে নিজেকে বিলিয়ে দিলাম এবং ছবি উঠলাম। ছবিগুলো বেশ ভালই এসেছে, পেছনের ব্যাকগ্রাউন্ড সহ বটগাছের দৃশ্যটি অসাধারণ হয়েছে।

 

IMG-20231214-0062.jpg

IMG-20231214-0065.jpg

IMG-20231214-0066.jpg

বট গাছের সাথে বিভিন্ন অ্যাঙ্গেলে এবং বিভিন্ন স্টাইলে ছবি উঠতেছি। যদিও আমি কোন স্টাইল করতে পারি না, ভাই বলতেছে ভাই আরো দুই একটি পোস দেন। বলতেছি ভাই দুই একটা পোস দেখায় দেন কেমনে নিতে হবে 😜।

 

যাইহোক পরিশেষে আমার নিজের মতো করে কয়েকটি ছবি উঠলাম। ভাই কেউ কয়েকটি ছবি উঠিয়ে দিলাম। রাস্তা দিয়ে সিএনজি অটো চলতেছে, এর মাঝেও ছবি উঠাতে ব্যস্ত আমরা। যদিও এটা হাইওয়ে নয়, তারপরেও সমস্যা নেই।

 

মেলাতে আসার পর পাহাড়ে উঠেছিলাম। মেলার পিকচার গুলো আপনাদের মাঝে তুলে ধরে নিয়ে বরঞ্চ আমি তুলে ধরলাম যে জায়গাগুলোতে ঘোরাফেরা করলাম দর্শনীয় স্থানগুলো।

 

আমি ইতিপূর্বে রাবার গাছ মনে হয় দেখি নাই এই প্রথম। সুমন ভাই বলতেছে সেটা রাবার গাছ আমি তো অবাক আরে রাবার কাছে এমন হয় নাকি! বলতেছে ভাই এটাই রাবার গাছ আপনি আসলেই চেনেন না?

 

আরে ভাই আমি তো আসলেই চিনি না পরে যে রাবারগুলো গাছ থেকে বের হচ্ছে আমি হাত দিয়ে নেড়েচেড়ে দেখলাম। ওমা আসলেই তো তাই রাবারের মতো লম্বা হচ্ছে এগুলো বিভিন্ন প্রসেসের মাধ্যমে রাবার উৎপাদন করে

IMG-20231214-0046.jpg

IMG-20231214-0043.jpg

সাহ্জী বাজার রাবার বাগানে আমি বেশ কিছু সময় অতিবাহিত করলাম এবং কাজগুলো ঘুরে ঘুরে দেখলাম এবং গাছের সাথে অনেকগুলো ছবি উঠলাম তার মধ্যে কয়েকটি ছবি আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি।

 

এরপর হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলাম ব্রিজের লেগে। সেখানে বেশ কিছু সময় অতিবাহিত করলাম এবং ব্রিজের সাথে ছবি উঠলাম পাশ দিয়ে অনেক বড় বড় পাহাড় এবং জঙ্গল।

 

বিশেষ করে আমরা সাধারণত বাড়ি ঘর তৈরিতে যে বালি গুলো ব্যবহার করি সেই বালি গুলো সাধারণত এই দিক থেকেই বেশি উঠানো হয়। সেই বালির প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে নিজেকে উৎসর্গ করে দিলাম ছবি উঠানোর ক্ষেত্রে।

 

IMG-20231214-0026.jpg

IMG-20231214-0039.jpg

IMG-20231214-0031.jpg

IMG-20231214-0023.jpg

এখানে আমি একটি ছবি ব্যবহার করেছি সুমন ভাইয়ের যার সাথে আমি দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করেছি এই ভ্রমণে।

 

দুজনে মিলে বেশ ছবি উঠলাম হাঁটাহাঁটি করলাম পাহাড় দিয়ে এবং বন জঙ্গল ঘুরে ঘুরে দেখলাম। এইদিকে শুধুমাত্র চা বাগানেই সীমাবদ্ধ নয় বরঞ্চ বিভিন্ন গুণ রয়েছে যেখান থেকে মানুষ অর্থ উপার্জন করে। দেখেছি কত কাঠুরিয়া যারা কাঠ কেটে নিয়ে যাচ্ছে যেই গাছগুলো শুকনো হয়ে গেছে।

 

এখানে দুটি ছবি দেখতে পারতেছেন দুটির পেছনেই কিছু লেখা রয়েছে যা আমি আপনাদের হালকা একটু তুলে ধরবো।

 

৮ হেক্টর জমির উপর প্রায় 20,000 চারা গাছ লাগিয়েছিল ২০১৫-২০১৬ অর্ধবছরে এবং তখনই এই বনের নামকরণ করা হয়েছে। খুবই স্বল্পমেয়াদী এই অনুন্নয়ন ব্যয়। প্রায় ২০ জন মালিকানার অধীনে।

IMG-20231214-0040.jpg

IMG-20231214-0054.jpg

এরপর আরো একটি ছবি আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি যে ছবিটি ওটা হয়েছিল একদম শেষে অর্থাৎ সন্ধ্যার দিকে এটা একটি খেলার মাঠ। এই মাঠ নির্বাচনের ক্ষেত্রে অনেক পটভূমি রয়েছে আমি হালকা করে তুলে ধরলাম:-

 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এখানে এসে ভাষণ দিয়েছিল তার ভাষণ ছিল অন্য একটি জায়গায় কিন্তু তার ভক্ত বিন্দু বা জনপ্রিয়তা তাকে এখানে আসতে বাধ্য করেছে।

 

তখন তিনি এই জায়গায় এসে ভাষণ দিয়েছে এবং তারই স্মৃতি স্মরণে এই স্তম্ভটি করা হয়েছে যে স্থানে দাঁড়িয়ে তিনি ভাষণ দিয়েছিল ঠিক সেই স্থানেই।

 

আমি যেই সাইনবোর্ড গুলো দেখতে পেয়েছি আমি সবগুলোই অধ্যায়ন করার চেষ্টা করেছি এবং তথ্য জানার চেষ্টা করেছি। কেননা ভ্রমন সেটাই যেটা হচ্ছে তুমি অধ্যায়ন করবে জানতে পারবে। ভ্রমণ করলাম কিন্তু তথ্য জানলাম না তাহলে তো হয় না। হয়তো আরো কোনো তথ্য ছিল আমার গাফিলতির কারণে সেগুলো হয়তো বা জানতে পারি নাই, তবে চেষ্টা করলে হয়তো আরো তথ্য জানতে পারতাম।

 

যাইহোক ভ্রমণ বিষয়ে যতটুকু জানতে পেরেছি আপনাদের মাঝে উপস্থিত স্থাপন করার চেষ্টা করেছি। দেখা হবে পরবর্তী কোনো লেখা নিয়ে সে পর্যন্ত সঙ্গেই থাকুন এবং ভালো থাকুন

476.141 SRY$0.00
India
India

Comments