বর্তমান আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে, এর মূল কারণ হলো শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট বেশি ব্যবহার।
pexels-photo-4200824.jpegpexels
বর্তমান শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে তাদের মোবাইল ফোনে। তার মধ্যে বিশেষ করে ফেসবুক, ইমু, হোয়াটসঅ্যাপ। শিক্ষার্থীরা সবচাইতে বেশি ফেসবুকে, ঘন্টার পর ঘন্টা সময় অতিবাহিত করছে, একবার ঢুকে পরলে আধা ঘন্টা কথা বলে, তারা দুই তিন ঘন্টা পার করে দেয়। যখন তারা এটির মধ্যে একবার ঢুকে পরে, তখন তাদের আর কোন দিকে খেয়াল থাকে না। তারা এই ভয়াবহ মোবাইল ফোনের আসক্তি থেকে বের হতে চাইলেও বের হতে পারে না। এদিকে তারা যে আসক্ত হয়ে গেছে, এই ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন ব্যবহারের প্রতি, তারা নিজেও বুঝতে পারে না।
শিক্ষার্থীদের এই মোবাইল ফোনের ব্যবহার থেকে বাস্তব মুখী করতে পারলেই, শিক্ষার্থীদের আবারও শিক্ষা মুখর পরিবেশের দিকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলে মনে করি। তাই আমাদের পরিবারের সর্বপ্রথম এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। তারপর প্রাতিষ্ঠানিক এবং সামাজিকভাবে এই মোবাইল ফোনের আসক্তি থেকে তাদের বের করে আনতে হবে। তাহলেই শিক্ষার্থীদের পুনরায় শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে আস্তে আস্তে ধাবিত করা সম্ভব হবে। এ অবস্থা থেকে শিক্ষার্থীদেরকে এক দিনে বের করে আনা সম্ভব নয়। তাদের সাথে সুন্দর ব্যবহার করে এবং তাদেরকে বুঝিয়ে এই ইন্টারনেটের অপব্যবহার থেকে সরিয়ে আনতে হবে।
pexels-photo-4549408.jpegpexels
মোবাইল ফোন আমাদের জীবনে প্রত্যেকেরই প্রয়োজন। সেটা কি সঠিক ব্যবহার করে নিজের প্রয়োজনে কাজে লাগাতে হবে এবং আমাদের সকলকেই এর অপব্যবহার থেকে দূরে থাকতে হবে। এই আসক্ত থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য আমাদের বাস্তবমুখী হওয়া খুবই প্রয়োজন। মোবাইল ফোন ব্যবহার না করে বিকেলের দিকে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া,কথাবার্তা বলা, কোথাও ঘুরতে যাওয়া। এমন আনুষঙ্গিক কাজ করলে আমরা এই আসক্তিকে কিছুটা হলেও বের হয়ে আসতে পারবো।
বিকেল টাইমে আমরা যদি আমাদের বন্ধুবান্ধবদের সাথে খেলার মাঠে খেলাধুলা করতে যাই, এতে আমাদের শরীর চর্চা হবে এবং আমাদের মন শরীর দুটোই ভালো থাকবে। একটি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার দিকে মনোনিবেশ আরো উন্নত হবে। যার ফলে এই ফোন ব্যবহারের আসক্তিটা অনেকটাই কমে যাবে এবং পড়াশোনায় মন বসবে।
pexels-photo-5905837.jpegpexels
যে শিক্ষার্থীরা মোবাইলে আসক্ত হয়ে গেছে, তারা এটি থেকে যদি বেরিয়ে আসতে না পারে। তাহলে তারা আস্তে আস্তে আরো বেশি আসক্তর দিকে যাবে। এক সময় তাদেরকে এ আসক্ত থেকে বেরিয়ে আনা সম্ভব হবে না। তখন তারা সমাজে এবং পরিবারের জন্য একটা বোঝা হয়ে যাবে।
আমাদের এখনই সচেতন হতে হবে। যারা এই মোবাইলে আসক্ত হয়ে যাচ্ছে, তাদের কে সেখান থেকে বেরিয়ে আনার চেষ্টা করতে হবে! তাহলেই সমাজ এবং পরিবারের জন্য ভালো।
আমার পোস্টটি পড়ার জন্য সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Comments