খুব মনে পরে....
আজ ১ মাস ৭ দিন হয়ে গেল বাড়ি থেকে চলে আসছি। কলেজ লাইভে মেসে কখনও এতো দিন থাকি নাই, মাসের মধ্যে এমনও হয়ছে ৩/৪ বার বাড়ী গিয়েছি। ছুটি পেলেই ছুটে চলে যেতাম বাড়ীর মায়ায় পরে। কিন্তু গাজিপুরে আসার পর এতো দিন হয়ে গেল বাড়ি যায় না। আসলে সময়ের সাথে সাথে সব কিছুই পাল্টাতে থাকে। মাঝে মাঝে খুবই মন খারাপ হয়, সবার জন্য। এখন মন চাইলেও আর একদিনে বাড়ী গিয়ে, একদিনেই ফিরে আসা যায় না। স্বপ্ন পূরণের আশায় কত শত কষ্ট ত্যাগ শিকার করতে হয়৷ আল্লাহ তায়ালা যেনো এই ত্যাগের প্রতিদানটা দান করেন। ( আমিন).
বাড়িতে গেলেই আমার মা কত খুশি হয়ে যেতো। বাড়ীতে আব্বু কাজে চলে আসলে, মা সারা দিন একা একা থাকে। ভাইয়ের একটা মেয়ে আছে, ও মাঝে মাঝে আসে আবার খেলায় ব্যস্ত হয়ে যায়। আমি বাড়ী থাকলে নাকি আমার মায়ের খুব শান্তি লাগে। বাসায় গেলেই বলে, বাবা তুই বাড়ী থাকলে বাড়ীটা শান্ত লাগে। মা কে খুব মিস করছি৷ প্রতিদিনই কলে কথা বলি তাও যেনো তৃপ্তি পায় না। মায়া জিনিসটা পৃথিবীতে সবচেয়ে কঠিন৷ এই মায়া কাউকে ভালো করে আবার কাউকে ধ্বংস করে দেয়।
সবচেয়ে বেশি মন খারাপ হয় আমার ছোট আম্মুটার জন্য। মানে আমার বড় ভাইয়ের মেয়ের জন্য। বয়স ৪ বছর হলো। আমাকে ছাড়া যেনো ও থাকতেই চায় না। বাড়িতে গেলে সারাটা ক্ষণ, আমার সাথে থাকত, শুধু রাতে ঘুমানোর সময় ওর মা নিয়ে যেতো। আমার সাথে খাবার খাবে,, দুপুরে ঘুমাবে, এমনকি নামাজে যাওয়ার সময়ও পিছু ধরে। আর আমাকে কাকু নয়, বাবা বলে ডাকে। যেটা আমাকে সবচেয়ে বেশি মায়ায় ফেলেছে। ফোন দিলেই বলে ও বাবা তুমি বাড়ি আসবা না। ও যেনো আমাকে না দেখে থাকতেই পারে না।
আম্মুটার কথা খুবই মনে পরে। বাবা, মামা, ভাই, ভাবি, ছোট খালু, খালা, বড় খালা সহ চাচা চাচি, সবার কথাই ভিশন মনে পড়ে। কিন্তু বেশি মায়া ভালো নয়। লক্ষ্যে দিকে যেতে হলে এটো মায়া ভালোবাাসা রাখা যাবে না। ত্যাগ করে দিতে হবে। ইনশা আল্লাহ খুব শীঘ্রই সবার সাথে দেখা হবে। আল্লাহ তায়ালা যেনো সবাইকে সুস্থ রাখেন, ভালো রাখেন।
আপনাদের সবাইকে অনেক ধন্যবাদ আমার আজকের পোষ্টটা পড়ার জন্য।
Comments